স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জ পৌরসভার পুরাণ মুন্সেফী এলাকার সরকারী পুকুর দখলের অভিযোগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ও সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (৩ডিসেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে তারা সরকারী পুকুর বেদখল থেকে উদ্ধারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পৌর মেয়র মোঃ মিজানুর রহমান মিজান বলেন, পুকুর পরিদর্শন করা হয়েছে।
এসময় তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের সহযোগীতায় আগামী রবিবার থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পুরোদমে চলবে। উল্লেখ্য, শহরের পুরাণ মুন্সেফী এলাকার পুকুরটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় মানুষের প্রতিদিনের নানা চাহিদা পূরণ করে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি ওই পুকুরের প্রতি কূ-নজর পড়ে আলিফ শাহ সেন্টার (বনফুল মিষ্টির দোকান) মালিকসহ আরও কয়েক জনের। অভিযোগ আছে, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সরকারি পুকরে ময়লা-আর্বজনা, ইট, পাথর দিয়ে ভরাট করে অবৈধভাবে দখল দখলের পায়তারা করছেন এরা। শুধু দখলই নয়, আশপাশের দোকানগুলোর ব্যবহৃত বর্জ্য থেকে বিনষ্ট হচ্ছে স্থানীয় পরিবেশ।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, সুলতান মাহমুদপুর মৌজার জেএল নং-১৭, খতিয়ান নং-১৮ এবং আরএস ৪১০৮ দাগের ৫১৫২ শতাংশ দাগের মালিকা পুকুড়টি হবিগঞ্জ পৌরসভা থেকে লীজ গ্রহণ করেন শহরের শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা মহিবুর রহমান। তবে তিনি লীজ গ্রহণ করলেও ঠিকমত করতে পারছেন মাছ চাষ। ময়লা-আবর্জনায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে পুকুরের পানি। গতকাল সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পুকুরের পশ্চিম ও উত্তর পাশে হাজী হরমুজ আলী এন্ড সন্সের দোকানের পেছনে ইট পাথর দিয়ে ভরাট করে দখলের পায়তারা চলছে।
পুকুরের চারপাশে ও মধ্যভাগে ভাসমান অসংখ্য ময়লা-আর্বজনার স্তুপ জমা, লীজ গ্রহীতা মুহিবুর রহমান জানান, পুকুরের চারপাশে প্রতিনিয়তই ময়লা আর্বজনা ফেলা হচ্ছে। গৃহস্থালীর ময়লা থেকে শুরু করে চারপাশে দোকানগুলোর ব্যবহার্য ময়লা ইত্যাদি ফেলা হচ্ছে। কোন প্রতিবাদ করলেও হচ্ছে না প্রতিকার। সর্বশেষ সুষ্ঠু প্রতিকার পেতে সবাইকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের দ্বারস্থ হই।