ঢাকাMonday , 11 April 2022
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মাধবপুরের হাট-বাজারে তরমুজের দাম আকাশছোঁয়া

Link Copied!

উপজেলা সদরসহ মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে তরমুজের প্রচুর সরবরাহ থাকলেও আকাশছোঁয়া দামের কারনে সাধারণ মানুষের অনেকটাই নাগালের বাইরে। প্রচন্ড গরমে বিশেষ করে রমজান মাস হওয়ায় ইফতারের সময় একটুকরো তরমুজ খেয়ে প্রশান্তির পরশ পেতে আগ্রহী লোকজন চড়া দামের কারনে চাহিদামতো পছন্দের এই ফল কিনতে পারছেন না।

মাধবপুর উপজেলা সদরের বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কয়েকজন তরমুজ ব্যবসায়ী রয়েছেন। তারা পিস হিসাবে এবং কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করেন । সোমবার (১১এপ্রিল) দুপুরে তরমুজ ব্যবসায়ী গিরিন্দ্র দেবনাথের সাথে কথা হয়। তিনি জানান বরিশাল থেকে তার দোকানে তরমুজের চালান আসে।

তার এখানে ৫ কেজি ওজনের নিচে কোনো তরমুজ নেই। সর্বোচ্চ ৮ থেকে ৯ কেজি ওজনের তরমুজও বিক্রী করেন তিনি। প্রতি কেজি তরমুজের দাম হাঁকেন ৬০/৭০ টাকা। পিস হিসাবেও বিক্রি করে থাকেন। ঘুরে ফিরে দাম একই।

এ প্রতিনিধির সামনেই কয়েকজন ক্রেতা ৬০ টাকা কেজি দরে ৬ কেজি ওজনের কয়েকটি তরমুজ কিনে নেন। পার্শ্ববর্তী বিজয়নগর উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের ক্রেতা খোকন জানান,কেজি দরেই হউক কিংবা পিস হিসাবেই হোক তরমুজের দাম একই থাকে। তরমুজ ব্যবসায়ী গিরিন্দ্র দেবনাথ জানান,দামের কারনে তার বিক্রী থেমে থাকে না। প্রতিদিন ২শ থেকে ২ শ ২০ টি বিভিন্ন সাইজের তরমুজ তিনি বিক্রী করতে পারেন। তার দোকানেই কয়েকজন ক্রেতাকে দামাদামি করে তরমুজ না কিনেই ফিরে যেতেও দেখা যায়।

এমনি একজন ছাতিয়াইন এলাকার করিম জানান,পুলাপাইনে কইছিল তরমুজ নিয়া যাইতাম। দাম বেশী হওয়ার কারনে কিনতে পারি নি। তরমুজ ব্যবসায়ী শফিক মিয়া জানান তিনি কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করেন না। কেটে পিস হিসাবে কিংবা আস্ত তরমুজ বিক্রী করেন। সাইজে ছোট হওয়ায় তার দোকানে ক্রেতাদের ভীড় লেগেই থাকে বলে তার দাবি।

গিরিন্দ্র দেবনাথ,শফিক মিয়া ও ছাতিয়াইন বাজারের ব্যবসায়ী হরেন্দ্র ও আশিক মিয়া জানান,মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ও চৌমুহনী এলাকার অনেক গ্রামে প্রচুর তরমুজের ফলন হয়। তবে এখনো এখানকার চাষীরা পুরোদমে বাজারে সরবরাহ করতে পারছেন না। বরিশাল কিংবা কুমিল্লা থেকে চড়া দামে তরমুজ কিনে আনতে হয়।

পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যোগ করে পড়তা বেড়ে যাওয়ায় বেশী দামেই তাদের তরমুজ বিক্রী করতে হয়। তবে স্থাণীয়ভাবে উৎপাদিত তরমুজ বাজারে ব্যাপক পরিসরে উঠতে শুরু করলে সামগ্রীকভাবে তরমুজের দামে প্রভাব পড়তে শুরু করবে। তখন দাম আরো সহনশীল পর্যায়ে আসবে বলেও তারা জানান।

তবে চৌমুহনী এলাকার স্থাণীয় এক সাংবাদিক জানিয়েছেন,এখানকার তরমুজ অলরেডি বাজারে যাচ্ছে। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী হয়তো অধিক লাভের আশায় স্থাণীয়ভাবে উৎপাদিত তরমুজকেই কায়দা করে বরিশাল কিংবা কুমিল্লার বলে চালিয়ে দিচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আল মামুন হাসান জানান,মাধবপুরে চলতি মৌসুমে ৪ শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে।

কৃষি বিভাগ থেকে তরমুজ চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে।আশানুরূপ উৎপাদন হবে বলে তিনি জানিয়েছেন ।

ভোক্তা অধিকার হবিগঞ্জের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা আমার হবিগঞ্জকে জানান, ভোক্তা অধিকার রক্ষায় সারা জেলায় নিয়মিত তদারকি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। অতিরিক্ত দামে তরমুজ বিক্রির বিষয়ে সহসাই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।