হবিগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা - আমার হবিগঞ্জ | Amar Habiganj
ঢাকাThursday , 23 July 2020
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হবিগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

Link Copied!

 

মোঃ হাসান চৌধুরী, নবীগঞ্জ : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে শিবগঞ্জ বাজারের পাশে উমরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর সামনে বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউরি ইউনিয়নের হলদারপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কামাল মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক দল দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (২২ জুলাই) রাত ১১’টার দিকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজে নেয়া পর তিনি মারা যান। এর আগে, সন্ধ্যায় তাকে কুপিয়ে জখম করে একদল দুর্বৃত্তরা।

 

ছবি: নিহত: ইউপি আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কামাল মিয়া (৩৫)

 

জানাযায়, গতকাল বুধবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলার উল্লেখিত স্থানে মোঃ কামাল মিয়া পার্শ্ববর্তী নোয়াগাঁও গ্রামের এক মুরব্বীর জানাজার নামাজ পড়ে নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে শিবগঞ্জ বাজারের কাছে উমরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সামনে পৌঁছা মাত্র একদল দুর্বৃত্ত তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় মোঃ কামাল মিয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন এবং গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

সেখানে রাত ১১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পূর্বে তার উপর হামলাকারী বেশ কয়েকজনের নাম বলে গেছেন কামাল মিয়া। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, নিহত কামাল মিয়ার সাথে বড়ইউরি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। ৪ সন্তানের জনক কামাল মিয়ার এক ছেলে প্রতিবন্ধি বলে জানা যায়।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান “দৈনিক আমার হবিগঞ্জ”কে জানান, বুধবার সন্ধ্যায় কামাল মিয়া প্রয়োজনীয় কাজে নবীগঞ্জ উপজেলার শিবগঞ্জ বাজারে আসেন। সেখান থেকে ফেরার পথে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা একদল দুর্বৃত্তরা কামাল মিয়ার উপর হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে।

পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি মারা যান। চারজন শিশু এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিল। তবে তারা কাউকেই চিনতে পারেনি। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।