ঈদুল আজহা সামনে রেখে সিলেট ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আসা ভারতীয় গরু প্রবেশ করতে শুরু করেছে জেলার বাজারগুলোতে। সিলেটের সীমান্তে চারটি করিডর থাকলে হবিগঞ্জে এ রমক কোন বিষয় চোখে পড়েনি। সুত্র জানায়, চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা, চিমটি বিল, গুইবিল ও সাতছড়ি সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে এ গরুগুলো আসছে। এতে একটি চক্র যেমন হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। সেই সাথে কাঙ্কিত মুনাফা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় করছেন দেশীয় খামারিরা।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তের কাঁটা তার পেরিয়ে রাতের অন্ধকারে এসব গরু দেশে এনে সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে রাখা হয়। পরে দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত ঘেঁষা বেশ কয়েকটি পশুহাটে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়। চোরাই পথে আসা গরুর দাম কম হওয়ায় বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে একটি চক্রের সহযোগিতায় এসব গরু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। সীমান্ত দিয়ে বৈধ পথে যতগুলো ভারতীয় গরু আসে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গরু সীমান্ত কাঁটা তার পেরিয়ে দেশে ঢুকছে। এর পেছনে কাজ করছে কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র।
তারা গরু প্রতি ৫শ থেকে হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। এদিকে, সিলেটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গরু আসছে অন্যতম পর্যটন এলাকা গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি সীমান্ত দিয়ে। সীমান্ত পেরোনোর পর কিছুটা নৌপথ ও কিছুটা সড়কপথ ভ্রমণ শেষে নগরে গরু প্রবেশ করছে। এসব গরুর কিছুটা অংশ আসছে হবিগঞ্জে।
স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ অঞ্চলের কোরবানি পশুর চাহিদা মেটানোর মতো যথেষ্ট দেশি গবাদিপশু হবিগঞ্জ রয়েছে। তবে চোরাই পথে আসা ভারতীয় গরুর প্রভাব পড়ে স্থানীয় খামারিদের ওপর। এ ছাড়াও সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজারের কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারতীয় গরু আসছে। সীমান্ত পার হয়ে আসা পশুর সাথে ছড়িয়ে পড়ছে নানান রোগ, আক্রান্ত হচ্ছে দেশীয় গরু। তবুও গরু ব্যাপারীদের (বিক্রেতা) বেশীর ভাগ নজর কাড়ছে ভারতীয় চোরাই গরু।