শায়েস্তাগঞ্জ মডেল কামিল মাদ্রাসার বিতর্কিত অধ্যক্ষ মোঃ শাহাব উদ্দিনের নিয়োগ বাতিল চেয়ে গভনিং বোর্ডের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা। গত ২৮ আগস্ট এ স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। এ সময় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
সুত্র জানায়, বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ শাহাব উদ্দিন একজন ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী। তারপরও ২ বছর ধরে চাকরিতে বহাল আছেন শায়েস্তাগঞ্জ মডেল কামিল মাদ্রাসায়। একদিকে বিতর্কিত অবৈধ নিয়োগ অন্যদিকে আদালতের সাজা। এরই মধ্যে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে তার আশ্রয়দাতা সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আবু জাহিরের আত্মগোপনের পর এখন চরম বিপাকে পড়েছেন অধ্যক্ষ মোঃ শাহাব উদ্দিন। তবে জানা গেছে চেয়ার ধরে রাখতে কাছ ঘেষতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতাদের।
অপরদিকে, অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সিআর ৪১৪/১৭ মামলায় ২০২২ সালের ২১ মার্চ অধ্যক্ষ মোঃ শাহাব উদ্দিনকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁছ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতের বিচারক রাহেলা পারভীন। আদালত থেকে জামিন নিয়ে সাজা আপিলের আবেদন করলেও আদৌ সাজা কমেনি বলে জানা গেছে।
তবে সরকারি চাকুরী বিধি আইন ২০১৮ এর ৪১ (৩) ধারায় অভিযোগপত্র, প্রতিবেদন আদালতে জমা সাথে সাথেই চাকুরি থেকে সাময়িক অব্যাহতি এবং সাজা হওয়ার সাথে সাথেই চাকুরি থেকে পুরোপুরি অব্যাহতি প্রদানের বিধান রয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, কামিল মাদ্রাসায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুসরণ না করেই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে মোঃ শাহাব উদ্দিনকে নিয়োগ প্রদান করে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি। এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়াতে একের পর সংবাদ প্রকাশ হলে অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন লিলু মিয়া নামে এক অভিভাবক। এতে তিনি উলেখ করেন মোঃ শাহাব উদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে মাদ্রাসা কামিল হওয়া সত্ত্বেও ফাজিল স্তর দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ অনিয়ম করে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এই অভিযোগে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সরেজমিন তদন্ত করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অধ্যক্ষ নিয়োগের যথেষ্ট সত্যতা মিলে। আরেকটি সুত্র জানায়, জনৈক আওয়ামী লীগ নেতার মাধ্যমে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্যকে মোটা অঙ্কের ঘুষ প্রদান করে অবৈধ পক্রিয়ায় নিয়োগ লাভ করেন মোঃ শাহাব উদ্দিন। পরবর্তীকে নিয়োগ পক্রিয়া প্রমাণিত হওয়ার পর কৌশলে ফাইল চাপা দেন তিনি।
