পবিত্র দেব নাথ মাধবপুর প্রতিনিধিঃ- গত এক তারিখ হতে দেশের কঠিন লকডাউনে হবিগঞ্জ জেলা মাধবপুর উপজেলাতে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও বাড়ছে। কিন্তু গণমানুষের মাঝে নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার আগ্রহ । দেশব্যাপী যখন কঠোর লকডাউন চলছে তখন মাধবপুর উপজেলাতে বিভিন্ন বাজারে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায় যানবাহন। চলাচল দেখে মনে হয়না মাধবপুর উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে সবগুলো বাজারেই কঠোর লকডাউনের কোন ভাবেই আওতায় আসেনি।
সোমবার (৫জুলাই) ৫ম দিনে মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর এস আই সাইয়েদুর ও এ এস আই নাজিম উদ্দীন সহ সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সকাল ১১টার দিখে মনতলা বাজার ও কাশিমনগর বাজারে সচেতন করতে পুলিশ এর গাড়ি দিয়ে হরণ বাজালে এর সাথে সাথে দোকপাট বন্ধ করে চলে যায় আবার পুলিশ চলে আসার পর দোকানপাট খোলা থাকে। যেন চুর পুলিশ খেলা।

ছবি : মাধবপুরে লকডাউন না মেনে অবাধে চলছে যানবাহন
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা ২১ নির্দেশনায় সকল প্রকার যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অসংখ্য মোটর বাইক, অবাধে চলছে সিএনজি চালিত অটোরিকসা , ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক, ট্রাক্টর, এমনকি টমটমও।
করোনা সংক্রমণ কমানোর মহতী উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত কঠোর লকডাউনের মধ্যেই বন্ধ নেই জনচলাচল। এমনকি ট্রাক, পিকআপ এম্বুলেন্সে চড়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে রাতের অন্ধকারে শত শত মানুষ মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এসে নামছেন।
দিনে রাতে জনচলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শহর জুড়ে শত শত মানুষ অবাধে অকারণে ঘুরাঘুরি করছেন। জিজ্ঞেস করলেই তারা উত্তরে বলছেন ‘ কই কাউকেইতো আটকানো হচ্ছেনা। যেখানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বাড়ির বাইরে বেরুলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। সেখানে মাধবপুরে এ পর্যন্ত একজনকেও গ্রেফতার হয়নি। এ তথ্য জানিয়েছেন মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
মাধবপুর উপজেলা অলিগলি ঘুরে দেখা গেছে সেখানে কঠোর লকডাউনের কোন অস্তিত্ব নেই। অবাধে চলাচল ও মেলামেশা করছে লোকজন। দোকনপাট খোলা। দোকানী ও ক্রেতাদের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই।
যদিও উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে। তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানাও করছেন। তবুও কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা। লোকজন দিন দিন যেন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। কঠোর লকডাউন হয়ে পড়েছে ঢিলেঢালা লকডাউন।
তবুও সেটাকে যথেষ্ট মনে হচ্ছেনা সচেতন মহলের কাছে। সচেতন মহল চাইছেন মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন যেন আরো কঠিনভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে সচেষ্ট হয়।