শিশির, বানিয়াচং : বানিয়াচংয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছে ১০ জন।
সরকারী খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বানিয়াচং উপজেলা শেখের মহল্লা ও শরীফখানী ২ মহল্লাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রায় ২ ঘন্টা তাদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। পরে দুুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ানোর চেষ্টা করলে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন, ওসি তদন্ত প্রজীত কুমার দাস, সেকেন্ড অফিসার এস আই আব্দুর রহমান, এস আই আব্দুছ ছাত্তারসহ সঙ্গীয় ফোর্সের বলিষ্ট ভূমিকা এবং শেখের মহল্লার সর্দার মোত্তাক্কিন বিশ্বাস ও শরীফখানী মহল্লার সর্দার ইকবাল হোসেন খানের মধ্যস্থতায় বড়ধরনের রক্তপাত থেকে রক্ষা পায় এলাকাবাসী।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৮ আগষ্ট) দুপুর ২ ঘটিকা থেকে বিকাল ৪ ঘটিকা পর্যন্ত। স্থানীয় সূত্র জানায়, শেখের মহল্লার উস্তার উল্লার পুত্র আলামিন ৩০ তার নিজ বাড়ির পাশের সুনারু খালে মাছ ধরতে যায়। এসময় শরীফখানী মহল্লার মনু উল্লার পুত্র মতি মিয়া, মতি মিয়ার পুত্র হুমায়ুনসহ ৭ থেকে ৮ জন লোক আলআমিনকে অভিনব কায়দায় তুলে নিযে লোহার রড দিয়ে বেধরক পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে আলামিনের আত্মীয় স্বজন একদল যুবক খাল পাড় হয়ে শরীফখানী সীমানা থেকে আলামিনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
আলামিনকে আহত করেই কান্ত হয়নি শরীফখানীর লোকজন। তাদের মসজিদের মাইকে শেখের মহল্লার লোকজনের সাথে সংঘর্ষ করতে আহ্বান জানালে শতশত লোকজন খালের ওপার থেকে শেখের মহল্লার সীমানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে।
এ খবর শেখের মহল্লার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারাও শত শত মানুষ জড়ো হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী চলে এপার ওপার ইটপাটকেল ছুড়াছুড়ি। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শরীফ উদ্দিন সড়কে সংঘর্ষের চেষ্টা করে। কিন্তুু পুলিশ সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর গুণীজনদের বলিষ্ট ভূমিকায় ভয়াবহ রক্তপাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ সেখানে গিয়েছে। তারপরও পুলিশ প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো পক্ষ মামলা দায়ের করেননি।