তানজিল হাসান সাগর : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বেসরকারী সদস্যদের বিল এবং বেসরকারী সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান বলেছেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ এবং পরবর্তীতে ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।
তিনি বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে বানিয়াচং উপজেলার ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় মার্কুলী বাজারে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। সভার শুরুতেই তিনি ১৫’ইং আগস্ট ও ২১ আগস্ট সহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ জীবিত যাঁরা আছেন তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মজিদ খান আরো বলেন “১৫ অগাস্টের প্রধান টার্গেট ছিল আমাদের ভৌগলিক মুক্তির স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর একুশে অগাস্টে প্রধান টার্গেট ছিল আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির স্থপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা। দুটি ঘটনার কুশীলবরা এখনও সক্রিয়। তাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা এখনও চলছে। “পঁচাত্তরের ১৫’অগাস্ট ঘটে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। জগতে আর কোনো হত্যাকাণ্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি, অবলা নারীকে হত্যা করা হয়নি, টার্গেট করা হয়নি অন্তঃসত্ত্বা নারীকে, টার্গেট করা হয়নি মেহেদি-রাঙ্গা নববধূকে। সে সময় বিদেশে ছিলেন বলেই প্রাণে বেঁচে যান আমাদের আশার বাতিঘর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা। সেদিন তারা বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই আজকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। হয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার। কলঙ্কমুক্ত হয়েছে দেশ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশটাকে এগিয়ে নিতে হবে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ ঋতু মোহন দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মলাই মিয়ার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীর হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার।
শোক সভায় ইউপি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।