নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কারখানা গ্রামের আব্দুল বাহার (৩৮) দীর্ঘদিন যাবত জমজমাট মাদক সেবন ও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে এলাকার যুব সমাজ বিপথগামী হয়ে পড়েছে এবং চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম বেড়েই চলছে। এলকাবাসী বহু অপকর্মের হোতা আব্দুল বাহারের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবন, জমি জবর দখলের অভিযোগ এনে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নবীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কারখানা গ্রামবাসীর পক্ষে প্রায় শতাধিক লোকের স্বাক্ষরসহ মোঃ আব্দুল ছালিক ও নামদার মিয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উল্লখে করা হয়, আব্দুল বাহার নিয়মিত একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবী। তার চলাফরোয় গ্রামের সাধারন মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠছেন। গ্রামের পঞ্চায়েত ও কোন মানুষকে পরোয়া না করায় সাধারন মানুষের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এই বহু অপকর্মের হোতা বাহারের খুটির জোর কোথায়?
এতে বাহার ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের অপকর্ম ঢাকতে উল্টো গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে জমি জবর দখল ও একঘরে করে রাখার অভিযোগ এনে সংবাদকর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন সাজায়। বাহার কর্তৃক গ্রামের পঞ্চায়েতের ভুমি জবরদখলের বিষয়টি গ্রামবাসীর শতাধিক লোকের স্বাক্ষরসহ গত ২২শে জুন জেলা প্রশাসক, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এছাড়া বাহার সবসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করে। তার নিজ বাড়ি বাংলা ঘরে দীর্ঘদিন বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য রাখে ও বিক্রি করে আসছে। সে তার বাংলা ঘরে মাদক সেবনের আসর বসায় বলওে অভিযোগ রয়েছে। তার এই মাদকের আস্তানায় থাকে এলাকার উঠতি বয়সের যুবক, স্কুল-কলেজের ছাত্রসহ অন্যান্য পেশার মানুষ।
স্থানীয় বিচার-শালিশের মাধ্যমে তাকে অনেকবার নিষেধ করা হলওে সে, এতে কোন র্কণপাত করেনি। এছাড়া সপ্তাহে ২/৩ দিন তার বাড়িতে মাদকরে আসর বসে বলেও সুত্রে জানাগেছে।
এলাকার লোকজন এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তাদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও মামলা দিয়ে ফাসানোর ভয় প্রর্দশন করে।
বাহারের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর পরই গত ১লা জুলাই বুধবার বাহার সংবাদকর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে তার ছোট ভাই আব্দুল আউয়াল ও তার চাচা ”৭১ এর মানবতা বিরোধী অপরাধের সহযোগী ফয়জুর রহমানকে দিয়ে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবে তাদেরকে একঘরে করে রাখা ও জমি জবর দখলের সম্পূর্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।
একঘরে করে রাখার বিষয়টি যে মিথ্যা তা থানা পুলিশ তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে বলে জানান গ্রামবাসী।
এছাড়া বাহারের ভাই আউয়াল কর্তৃক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে চাদাদাবী, ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যামামলা, হুমকি ধামকির যে অভিযোগ এনেছে এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে, সত্য উদঘাটন করে বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ জানান গ্রামবাসী।
সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি পরদিন গ্রামবাসীর দৃষ্টিগোচর আসলে তারা পুনরায় বাহারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে জোরালো ব্যবস্থা নেয়ার জন্য হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মহোদয়ের দৃষ্টি কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। নবীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি তদন্ত করতে দায়িত্ব দিয়েছি। অভিযোগ সত্য প্রমাণ হলে অবশ্যই বাহারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।