চুনারুঘাটে সুতাং পাড়ের উন্নয়নের বেহাল দশা : অনিয়মের অভিযোগ  - আমার হবিগঞ্জ | Amar Habiganj
ঢাকাSaturday , 3 July 2021
আজকের সর্বশেষ সবখবর

 চুনারুঘাটে সুতাং পাড়ের উন্নয়নের বেহাল দশা : অনিয়মের অভিযোগ 

Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার   :   চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের রাজার বাজার – কালিশিরী গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সুতাং নদীর ব্রিজের পাশে প্রায় ২ মাস আগে ব্লক দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। সাথে পুরাতন ব্রিজটিকে ‘রং’ করে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। এই উন্নয়ন কাজের ‘উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট’ এই বিষয়টি আঁচ করতে পারেনি এলাকার  তরুণ যুবসমাজ। অনেকেই এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ছবি ফেসবুকে আপলোড দিয়ে লন্ডন-আমেরিকার সাথে তুলনা করেন। এটা তাদের ভুল ছিলো না বলে অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। যেকোনো ভাল কাজের প্রসংশা করা খুবই ভাল।
কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এমওকে ফাউন্ডেশন’ উৎফুল্ল তরুণ সমাজের সাথে প্রতারণা করছে এটা পরিস্কার হয়ে গেছে। গত ২ দিনের মাঝারি বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে উন্নয়ন প্রকল্প ভেসে গেছে। ব্রিজের আশপাশের ব্লকগুলোতেও বেশ বড় বড় ফাটল ধরে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে।

ছবি : তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করার পর দুই মাসের মধ্যেই ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তার দৃশ্য। 

প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তাসহ ১ কোটি টাকার এই কাজটি পান শায়েস্তাগঞ্জের টিকাদার মখলিছ আহমেদ।  কাজটি পাওয়ার পরে তিনি সাব কন্ট্রাক্টে কালিশিরী গ্রামের কাদির মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেন বলে জানা যায়। শুধুমাত্র ব্রিজের আশপাশের ব্লক বসানোর জন্য ৮ লক্ষ টাকার অধিক বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে জানান উপজেলা সাব ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ।
এই বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে লোকজনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কাউকে পাওয়া যায়নি। এই কাজে ব্যপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ব্লকগুলো পুনরায় তুলে মাটি বসিয়ে কাজ করার দাবি এলাকাবাসী। নাহলে তারা তীব্র আন্দোলনের হুশিয়ারী দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সচেতন নাগরিক সমাজের অনেকেই বলছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করে এই কাজটি তড়িঘড়ি করে শেষ করেন।
সাব ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ব্লক ধসে পড়ার খবর আমাদের কাছে এসেছে। আজই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুনরায় কাজটি শুরু করবে। খোঁজনিয়ে দেখেন, হয়তোবা কাজ শেষ হয়ে গেছে। কাজটি ভালভাবে শেষ না করা পর্যন্ত আমরা তাদেরকে বিল পরিশোধ করবো না।”
উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার গোলাম সৈকত বলেন, “এই বিষয়টি আমি তদারকি করছি। ব্লক ধসে পড়েনি। মাঝেমধ্যে ফাটল ধরেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্রুত মেরামত করে দিবে।”
আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু বলেন, “প্রকল্প তদারকি করা আমার কাজ না। আমাদের কাজ হলো উন্নয়ন প্রকল্প পাশ করিয়ে নিয়ে আসা। কাজ ভাল হচ্ছে না খারাপ হচ্ছে এই বিষয় গুলো ইঞ্জিনিয়ার সাহেবরা ভাল বুঝেন। তবে আমার ইউনিয়নের কোন ২ নাম্বারি কাজ হতে দিব না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই ব্লকগুলো পুনরায় তুলে নতুনভাবে মাটি বসিয়ে কাজ করতে হবে। না হলে উত্তেজিত গ্রামবাসী কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে পেলে এর দায়ভার আমার পরিষদ নিবেনা। “