চুনারুঘাটে শালিকা খুনের দায়ে দুলাভাই কারাগারে - আমার হবিগঞ্জ | Amar Habiganj
ঢাকাFriday , 25 December 2020
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চুনারুঘাটে শালিকা খুনের দায়ে দুলাভাই কারাগারে

অনলাইন এডিটর
December 25, 2020 12:45 pm
Link Copied!

ছবি: চুনারুঘাটে শালিকা খুনের দায়ে দুলাভাই কারাগারে।

 

স্টাফ রিপোর্টার : চুনারুঘাটে শালিকা জুনেরা খাতুনকে (১৯) খুনের অভিযোগে দুলাইভাই সোহাগ মিয়াকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

চুনারুঘাট সদর ইউনিয়ের শেখেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। জুনেরা শেখেরগাঁও গ্রামের আব্দুর ছিতারের মেয়ে ও সোহাগ হবিগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডস্থ যশোরআব্দা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জবানবন্দী প্রদানের জন্য সোহাগ মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়।

সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আশরাফ জানান, স্ত্রী প্রবাসে থাকার সুযোগে শালিকা জুনেরার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে দুলাভাই সোহাগের। শুধু তাই নয় স্ত্রীর বড় বোনের মেয়ের দিকে কু-দৃষ্টি পড়ে তার। লম্পট দুলাভাইর কুমতলব বুঝতে পেরে শালিকা জুনেরা  দুলাভাইকে শাসিয়ে দেয়। এনিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে বাকবিতন্ডা হলে শালিকা জুনেরা খাতুনকে ওড়না দিয়ে পেঁছিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় সোহাগ। সে নিজেই শালিকার লাশ তড়িঘড়ি করে কাফন দাফনের ব্যবস্থা করে।

বিষয়টি জুনেরার আত্মীয় স্বজনদের সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে মর্গে প্রেরণ করে। বুধবার রাতে মেয়ের জামাই সোহাগকে আসামী করে চুনারুঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন শ্বশুর আব্দুর ছিতার মিয়া। মামলা দায়েরের পর চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আশরাফের নির্দেশনায় (তদন্ত) চম্পক দামের নেতৃত্বে এসআই ভ‚পেন্দ্র চন্দ্র বর্মন, এসআই মোতালিবসহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে শশুরবাড়ি এলাকা থেকে ঘাতক সোহাগ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

সাংবাদিকদের কোন তথ্য না দিয়ে রাতভর তার (সোহাগ) কাছ থেকে এ হত্যাকান্ডের তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে হাজির করলে হত্যার দায় স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয় সোহাগ।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ১০ বছর পুর্বে চুনারুঘাট উপজেলার শেখেরগাঁও গ্রামের আব্দুর ছাতিরের মেয়ে ছিতারা খাতুনকে বিয়ে করে সোহাগ মিয়া। বিয়ের পর থেকে সোহাগ শশুরবাড়িতেই বসবাস করে আসছে। সোহাগের তিন বছরের শাওন নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিদে সোহাগের স্ত্রী ছিতারা ও তার বোন জুনেরা খাতুন সৌদি আরব চলে যায়।

এদিকে প্রবাসে ৪ মাস অবস্থানের পর করোনার কারণে বিগত প্রায় দেড় মাস পুর্বে জুনেরা দেশে চলে আসে। পরিবার জুনেরাকে বারবার বিয়ে দিতে চাইলে সোহাগ পাত্রদেরকে ভ‚ল বুঝিয়ে ফিরিয়ে দিত। এ অবস্থায় সোহাগের অবুঝ সন্তানের দেখাশুনা করতেন শালিকা জুনেরা খাতুন। এ সুবাধে শালিকার সাথে সোহাগের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

শুধু তাই নয় জুনেরার বড় বোনের মেয়ের দিকেও কুনজর পড়ে সোহাগের। এর প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যা করে সোহাগ। থানার ওসি মোঃ আলী আশরাফ জানান, নিহত জুনেরার পিতা মামলা দায়েরের পর আমরা আসামী গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছি এবং হত্যার ব্যবহৃত ওড়না উদ্ধার করা হয়েছে। আসামী সোহাগ আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদানের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।