বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিক কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী পাঠাগারের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার সময় শায়েস্তানগর কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও মানিক চৌধুরী পাঠাগারের সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ ইকরামুল ওয়াদুদ, পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক দীপেন্দ্র চন্দ্র দাশ,বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেশ চন্দ্র দাস গুপ্ত,প্রভাষক রাহাত ,বাহুবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরিদ তালুকদার, মুশাহিদ, প্রমুখ। পরবর্তীতে স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী পাঠাগারে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী ১৯৩৩ সালের ১০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ভাষা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করতে গিয়ে প্রথম কারাবন্দী জন। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুথানে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য তিনি কারাভোগ করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চুনারুঘাট-বাহুবল-শ্রীমঙ্গল আসন থেকে তদানীন্তন জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেন। কৃষিক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মানিক চৌধুরী ১৯৭৪ সালে ‘বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক’ অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক হবিগঞ্জের গভর্নর নির্বাচিত হন।
ওই বছরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার প্রতিবাদে তৃণমূল থেকে প্রথম সোচ্চার হন এবং জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদ এর অবৈধ সরকারের আমলে তিনি তিন বছর কারাভোগ করেন। ১৯৯১ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি মৃত্যু বরণ করেন। ২০১৫ সালে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বাধীনতা পুরস্কারে (মরণোত্তর) ভূষিত হন।
