স্টাফ রিপোর্টার : হত্যা, জমি দখল, মাদক ব্যবসা, প্রতারণাসহ ডজন খানেক মামলার বিচারাধীন আসামী হয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। মামলায় একের পর কারাভোগ করেও তথ্য গোপন করে কৌশলে ভাগিয়ে এনেছেন স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা।
শেষমেষ তৃতীয় ধাপে আগামী আগামী ২৮ নভেম্বর নৌকা প্রতীক নিয়ে নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন তিনি।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ ফেব্র“য়ারী রাত সাড়ে ১০ টার সহযোগীদের নিয়ে নবীগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা হেভেন চৌধুরী (২৬)কে পরিকল্পীত ভাবে হত্যা করেন হাবিব।
ছবি : নবীগঞ্জের আলোচিত-সমালোচিত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব
এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হলে ১৭ এপ্রিল রাত ১০টায় ঢাকার ফকিরাপুল এলাকার একটি বাসা হাবিবকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের একটি দল। এ ঘটনায় দীর্ঘদিন কারাভোগের জামিনে আসেন হাবিব। ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর লন্ডন প্রবাসীর জমি বিক্রি, জালিয়াতি ও প্রতারণার দায়ে হাবিবকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।
এ ঘটনায় আবারও দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন তিনি। ২০১০ সালের ৭ মার্চ জলমহাল নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা ইয়াসমীন ও তার অফিস সহকারীকে লাঞ্ছিত করে হত্যার হুমকি প্রদান করে হাবিব।
এ ব্যাপারে ওই দিন মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে, সমালোচিত ব্যক্তিকে নৌকার প্রতীক দেয়ার প্রতিবাদ মিছিল করেছে নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। সুত্র জানায়, তথ্য গোপন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভুল বুঝিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে অনেক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, হত্যা, জমি দখল, মাদক ব্যবসা, প্রতারণাসহ ডজন খানেক মামলার বিচারাধীন আসামী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহনটা রীতিমত ভাবিয়ে তুলেছেন সচেতনমহলকে।
বিষয়টি নিয়ে সমালোচিত হাবিবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার জনপ্রিয়তায় ঈষান্বিত হয়ে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ নভেম্বর ৩য় ধাপে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় একযোগে ভোট গ্রহন করবে নির্বাচন কমিশন।
