ঢাকাSunday , 5 November 2023
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আমার হবিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশের পর : তহশিলদার আব্দুস সালামকে আজমিরীগঞ্জে বদলী

Link Copied!

অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের ঘটনায় দৈনিক আমার হবিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় চুনারুঘাটের তহশিলদার আব্দুস সালামকে ওএসডি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার তহশিলদার আব্দুস সালামকে আজমিরীগঞ্জের বদলপুরে বদলী করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে ‘চুনারুঘাটে সম্পত্তির পাহাড় গড়েছেন তহশিলদার আব্দুস সালাম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক আমার হবিগঞ্জ। উল্লেখ্য, দূর্নীতি ও অসাধু পন্থায় অঢেল সম্পত্তি আর কালো টাকার পাহাড় গড়েছেন চুনারুঘাট উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুস সালাম নামে ওই তহশিলদার ।

নামে-বেনামে ক্রয় করেছেন কমপক্ষে ২০/২৫ একর জমি। চুনারঘাট শহরের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তার একাধিক আলিসান বহুতল ভবন ও প্লট।

স্থানীয় সুত্র জানায়, আব্দুস সালাম চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুড়ি এলাকার দৌলতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারিকের পুত্র। সুত্র জানায়, আব্দুস সালাম ১৯৯৬ সালের ১ সেপ্টেম্বরে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) হিসেবে যোগদান করেন বিষগাঁও ভুমি অফিসে। এরপরই ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় তার। আস্তে আস্তে গড়ে তোলেন সম্পদের পাহাড়।

চাকুরীতে তার মূল বেতন ২২ হাজার ৫০০ টাকা হলেও প্রতি মাসে ইনকাম কয়েক লাখ টাকারও বেশী । সরকারি গোপন তথ্য অর্থের বিনিময়ে ফাঁস করে দেয়া, অবৈধ দখলদারদের সহযোগীতা, পক্ষে-বিপক্ষে প্রতিদেবন বানিজ্য ইত্যাদি তার মূল আয়ের উৎস।

আব্দুস সালাম অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ক্রয় করেছেন চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ ভবনের দক্ষিণে প্রায় ৬৫ লাখ টাকার বহুতল বাড়ি, দক্ষিণ বাসস্ট্যান্ড দিদার ম্যানশেনের পাশে ৫০ লক্ষ টাকার জমি, হাতুন্ডা গার্লস স্কলের পাশে ২৫ লাখ টাকার জমি, চুনারুঘাট কলেজ রোড ফায়ার সার্ভিস এলাকায় ৮ লাখ টাকার জমি, চুনারুঘাট মধ্যবাজার প্রাইমারি স্কুলের কাছে ১৫ লাখ টাকার জমি।

চুনারুঘাট উত্তর বাজার বড়াইল এলাকায় ১০ লাখ টাকার জমি। সাটিয়াজুড়ি সুন্দরপুর বাজারে ৩০ লাখ টাকার দোকান ভিট, এ ছাড়াও বয়েছে তার সিলভার কালারের একটি বিলাসবহুল নোহা গাড়ি, একটি সিএনজির অটোরিক্সাসহ অটেল সম্পত্তি।

তা ছাড়া তহশিলদার আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে কর্মস্থালে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, টাকা ছাড়া কোন কাজই করেন না তিনি। ঘুষ না পেলে তিনি দিনের পর দিন আটকে রাখেন ফাইল। ফলে সেবা প্রত্যাশীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আব্দুস সালাম অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে ঘুষ লেনদেন, দালালের দৌরাত্ম্য, ভুয়া রিপোর্ট প্রদানসহ অজস্র অভিযোগ।