ঢাকাTuesday , 19 May 2020
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মাধবপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের বেহাল দশা

Link Copied!

ইয়াছিন তন্ময়,মাধবপুর,প্রতিনিধি  :   করোনাভাইরাস  নামক মহামারি যেখানে সারাদেশে রাজত্ব করছে,বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তার রা দিন রাত জীবনের ঝুকি নিয়ে রুগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সেখানে মাধবপুরের নোয়াপাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ১০মাস ধরে নেই কোন ডাক্তার। সরেজমিনে,সোমাবর (১৮মে) গিয়ে দেখা যায়, ডাক্তারের রুমে ঝুঁলছে তালা। হাসপাতালের ভিতর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন রোগী সর্দি,কাশি নিয়ে হাজির হয়েছেন সেবা নেয়ার জন্য। সেখানে রুগীর চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন আলাউদ্দিন নামের একজন ফার্মাসিস্ট।

ছবি : মাধবপুরের নোয়াপাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকায় বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি

আমার হবিগঞ্জের সাথে কথা হলে ফার্মাসিস্ট আলাউদ্দিন বলেন, এই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ডাক্তার বিশাকা মাসুক নামে একজন ডাক্তার ছিলেন। কিন্তু তিনি গত ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে হাসপাতলে আর ডিউটি করতে আসেন না। তবে তিনি  কি কারণে কাজে আসছেন না তা আমি জানিনা। আমি বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। এই স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা এক  রুগী বলেন, নোয়াপাড়া তে গার্মেন্টস,ও মেইল ইন্ড্রাস্ট্রি থাকায় শ্রমিক সহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। কিন্তু দু:খের বিষয় এখানে একজন এমবিবিএস ডাক্তার এর পদ থাকলে ও কোন ডাক্তার নেই। তাই বাধ্য হয়ে ফার্মাসিস্ট এর কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে।

ছবি : নোয়াপাড়া স্বাস্থ্য কল্যান কেন্দ্রের চিকিৎসকের রুমটি তালাবদ্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। ফলে রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন সেবা না পেয়ে

এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইসতিয়াক মামুন এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক আমার হবিগঞ্জকে বলেন, ২০১৯ সালের জুলাই মাসের পর ডাক্তার বিশাকা মাসুক মাধবপুরের অন্য একটি  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা সেবা দিতেন। কিন্তু গত ৪মাস যাবত আমরা তার কোন খোঁজ পাচ্ছিনা। বারবার তার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি আমি জেলা সিভিল সার্জন সহ উর্ধতন কর্মকর্তা কে জানিয়েছি। এ বিষয়ে কয়েকজন এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অনেক দিন ডাক্তার নাই উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যদি একজন এমবিএস ডাক্তার এর ব্যবস্থা করে দিতেন তাহলে এলাকাবাসী তথা সাধারণ রোগীদের অনেক উপকার হতো।
3 Attachments