ঢাকাSaturday , 10 July 2021
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নারায়নগঞ্জের আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেল স্বপ্না রাণীর স্বপ্ন !

Link Copied!

মোফাজ্জল ইসলাম সজীব ,নবীগঞ্জ প্রতিনিধি  :  মাত্র ৬ মাস আগে স্বপ্নের ঘর সাজাতে জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমান নারায়ণগঞ্জে। ৫ মেয়ে শিশু কন্যা ও দিনমজুর স্বামীকে নিয়ে কাজ করতে গিয়েছিলেন নবীগঞ্জের স্বপ্না রাণী। ঘটনার সময় মেয়ে বিশ্বখাঁ রাণী নিচ তলায় ছিলেন। লোকজনের চিৎকার শুনে দৌড়ে বের হয়ে যান তার মেয়ে বিশ্বখাঁ। কিন্তু গত ৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতায় উপস্থিত সজীব গ্রুপের  প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কোম্পানির মর্মান্তিক অগ্নিকান্ডে নিভে গেল স্বপ্না রাণীর সেই সারাজীবনের স্বপ্ন। নিহত স্বপ্না রাণী (৩৮), নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের গোলডুবা আদর্শ (ভূমিহীন) গ্রামের জতিনমের স্ত্রী।

ছবি : মা স্বপ্না রাণীকে হারিয়ে মেয়ে বিশ্বখাঁর বুকফাটা কান্না।

এদিকে মায়ের সাথে একই কোম্পানিতে কাজে থাকা মেয়ে বিশ্বখাঁ রাণী প্রাণে ফিরে বেঁচে এসেছে বাবার কোলে। তার চোখে মুখে এখনো ভয়ানক সেইদিনের অগ্নিকান্ডের দৃশ্য ভেঁসে উঠছে। চোখের সামনে মায়ের মৃত্যু যেন কিছুতেই মানতে পারছেন না তিনি। গর্ভধারণী মাকে হারিয়ে ৫ বোনের আর্তনাদে এলাকার আকাশ পাতাল ভারি হয়ে উঠছে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকা জুড়ে । শোকে কাতর পুরো গ্রামবাসী।
স্বপ্না রাণীর মেয়ে বিশ্বখাঁ রাণী জানায়, গত ৮ জুলাই অগ্নিকান্ডের সময় তার মা জীবন বাঁচাতে এই কোম্পানির ৩য় তলার জানালার কাছ থেকে লাফ দিয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। ওই সময় তার পুরো শরীর রক্তমাখা ছিল। সেখানকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে সেখানকার স্থানীয়দের সহযোগীতায় ৯ জুলাই স্বপ্না রাণীর মৃতদেহ নবীগঞ্জ নিয়ে আসা হয়।
স্বপ্না রাণীর স্বামী জতিনম জানান, পরিবারের অভাব অনটন এবং ঋণের বোঝা দুর করতে সপরিবারে ৬ মাস পুর্বে নারায়ণগঞ্জের ভাড়া বাসায় উঠেন তারা। বড় মেয়ে ভাসনা রাণী (১৭),কাজ করতেন চায়না ব্যাগ কোম্পানিতে। দ্বিতীয় মেয়ে বিশ্বখাঁ রাণী (১৩), মায়ের সাথে একই কোম্পানিতে করতেন। এছাড়াও স্বপ্না রাণীর আরো তিন মেয়ে রয়েছে। তারা হলো, মিনতি রাণী (১০), মৌসুমী রাণী (৮),জবা রাণী (৩),।